আমাদের পুঁজিবাজার নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে আবার মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করল বিএনপি। এবার অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হল একই সঙ্গে।
বুধবার ভোর ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টা অবরোধের পর বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতালের ডাক দিয়েছে দলটি।
চলমান ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিন সোমবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি নবম দফা কর্মসূচি ঘোষণা করল। সেদিন নয়া পল্টনে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষের পর সমাবেশ চালিয়ে না গিয়ে পরের দিন ডাকা হয় হরতাল।
৩০ নভেম্বর বিরতি দিয়ে টানা তিন কর্মদিবস ডাকা হয় অবরোধ। পরের সপ্তাহ থেকে প্রতি প্রথমে ৭, ১৪ ও ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে বাকি কর্মদিবসগুলোতে কর্মসূচি ডাকা হয়।
গত ১৫ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ১৯ ও ২০ নভেম্বর হরতাল করে বিএনপি। বাকি দিনগুলোতে ডাকা হয় অবরোধ।
এবার অবরোধ ও হরতাল মিলিয়ে টানা দুই দিন কর্মসূচি ঘোষণা হল।
বিএনপি টানা কর্মসূচি দিয়ে এলেও তার প্রভাব ধীরে ধীরে কমে আসছে। দলের নেতা-কর্মীদের রাজপথে তৎপরতাও দেখা যাচ্ছে না। বিএনপির পক্ষ থেকে ‘দুর্জয় সাহস’ দেখানোর আহ্বানেও কাজ হচ্ছে না।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় বহু নেতা কারাগারে। নাশকতার মামলায় সাজাও হয়েছে বহু জনের। বাকি নেতারা আত্মগোপনে। রিজভী নিজেও আসছেন না প্রকাশ্যে। হরতাল বা অবরোধের সকালে গুটি কয়েক নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল করে আবার অজ্ঞাত স্থানে ফিরে যান।
এর মধ্যে ৭ জানুয়ারির ভোটকে সামনে রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ভোট থেকে দূরে থাকলেও আওয়ামী লীগ ও সমমনা, সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবং কয়েকটি নতুন দলের ভোট প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে।
আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। জাতীয় পার্টিও ২৮৯ আসনে পার্থী ঘোষণা করেছে।
আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। তবে বিএনপি ভোটে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তা পেছানো হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রিজভী বলেন, ‘‘যে দাবিতে আমাদের সংগ্রাম চলছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ যারা বন্দি রয়েছেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং হাজার হাজার নেতাকর্মী যারা কারাগারে এক কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের ভেতরে দূর্বিসহ জীবনযাপন করছেন তাদের মুক্তির দাবিতে আমরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করছি।”
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্য দলগুলোও একই কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply