আমাদের পুঁজিবাজার নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরোধীদের বর্জনের মধ্যে যে সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাকে ‘ভোট নয়, দলীয় কাউন্সিল’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তার মতে ‘আমরা ও মামুদের’ নির্বাচন হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণার পরদিন সোমবার বিকালে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে আগামী বুধবার ভোর ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টা অবরোধ এবং বৃহস্পতিবার সকাল সন্ধ্যা হরতার ঘোষণা করতে অনলাইনে আসেন রিজভী।
বিএনপির নেতা বলেন, ‘‘যেমন খুশি তেমন প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর শেখ হাসিনা গণভবনে মনোনয়ন বঞ্চিতদের সমাবেশে দলীয় প্রার্থীদেরকে একজন করে ডামি প্রার্থী রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। মনোনয়ন বঞ্চিতদের বলা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন।
‘‘তার মানে নৌকা ভার্সেস আওয়ামী লীগ! নিজেরা নিজেরাই। ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে যেন এ রকম, ‘আমি, আমরা আর মামুরা। নির্বাচন হবে আমি আর মামুদের মধ্যে!’
“পাতানো ম্যাচ খেলব দু জন, ‘তুমি আর আমি’। আর সাইড লাইনে থাকবে টাকার বিনিময়ে খরিদ করা ‘কুইন্স পার্টি’ ভূঁইফোড় পার্টির নেতারা।”
রিজভী বলেন, “আসন্ন নির্বাচনের শেখ হাসিনার ফর্মূলাকে সরকার পরিবর্তনের ভোট না বলে দলীয় কাউন্সিল বলা যেতে পারে।”
শেখ হাসিনা সারা পৃথিবীর মানুষকে ‘বোকা বানাতে চান’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আর আন্তর্জাতিক মহলকে এই হাস্যকর সাজানো নাটক দিয়ে ‘নয়-ছয়’ বুঝানো সম্ভব নয়।
“শেখ হাসিনার ‘মাফিয়া চক্রের’ অপকর্ম আর অনাচার স্তুপীকৃত হয়েছে, উনার হাতে বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা পচে গলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।”
নির্বাচনের নামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে ভরে ‘নির্বাচনী সার্কাস করে লাভ নেই’ মন্তব্য করে রিজভী বলেন, “বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার ঘুঘু বধ করতে ১৮ কোটি জনগণের সঙ্গে আছে গোটা গণতান্ত্রিক বিশ্ব।
“আদালত, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের সমস্ত সুতো শেখ হাসিনা রাখেন নিজের হাতের মুঠোয়। তার অধীনে নির্বাচন যে কতখানি চোখ ধাঁধানো জালিয়াতির হবে তা এক নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে ইতিহাসে আরেকটি অভিনব অধ্যায় হিসেবে যুক্ত হবে।”
Leave a Reply