পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো ২০২৩ সালের লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে লভ্যাংশের পরিমাণ নিয়ে মিশ্র চিত্র দেখা দিয়েছে। সাতটি ব্যাংকের লভ্যাংশের হার আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে, কিন্তু ছয়টি ব্যাংকের কমেছে। বাকি ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশের হার অপরিবর্তিত রয়েছে। উল্লেখ্য, লভ্যাংশের হার কমে যাওয়া কিছু ব্যাংকের ক্ষেত্রে নগদ লভ্যাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু বোনাস লভ্যাংশ কমেছে।
এবারের লভ্যাংশের চার্টে সবার উপরে রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংক। দু’টি ব্যাংকই গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিচ্ছে, যা আগের বছরের চেয়ে বেশি। উত্তরা ব্যাংকও সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের সর্বোচ্চ।
রূপালী ব্যাংক ২০২২ সালেও বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। এর আগে ২০২১ সালে ২ শতাংশ ও ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। ন্যাশনাল ব্যাংক ২০২২ ও ২০২১ সালেও বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। তার আগে ২০২০ সালে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০১৯ সালে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। আর আইসিবি ইসলামী ব্যাংক সর্বশেষ কবে লভ্যাংশ দিয়েছে, সে সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।
আগের বছরের তুলনায় লভ্যাংশ কমার তালিকায় রয়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। এরমধ্যে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় কমেছে। বিপরীতে মোট লভ্যাংশের পরিমাণ কমলেও এনআরবিসি, ঢাকা ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। বাকি দুটি ব্যাংকের নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ অপরিবর্তিত রয়েছে।
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply