আরএন স্পিনিং তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে নিজেদের নামে প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যু করে এবং পরিচালকদের নামের শেয়ার বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। আরএন বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ হিসেবে নগদ ক্যাশ বা টাকা দেয়নি। প্রতিবছর স্টক ডেভিডেন্ড; নগদ ক্যাশ টাকার পরিবর্তে কাগজ ধরিয়ে দিয়ে পরিচালকদের শেয়ার বাড়িয়ে দিয়েছে।
সেই শেয়ার আবার পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে নগদ ক্যাশ টাকায় বিক্রি করে কোম্পানির পরিচালকরা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০১২ সালে আরএন স্পিনিং রাইট শেয়ার ছেড়েও ১১৯ কোটি ৯৫ লাখ ৬০হাজার ৯৮০ টাকা উত্তোলন করেছিল। সেই টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে তৎকালীন বিএসইসির কমিশন কোম্পানির পরিচালকদের জরিমানাও করেছিল। বর্তমান কমিশনও জরিমানা করেছে।
আরএন স্পিনিং ও সামিন ফুড এন্ড বেভারেজ এবং ফার কেমিকেলসের সঙ্গে এসএফ টেক্সটাইল একীভূত (মার্জার) হতে চায়। একীভূত হওয়ার অনুমতির আগেই পুঁজিবাজারের একটি সংগঠনের প্রতিনিধি দল ডিএসইর নিয়ন্ত্রণ সংস্থাদের সঙ্গে মিটিং করে অনুরোধ জানায় মার্জার বন্ধ করার জন্য।
তখন ডিএসই বলেছে, এটা বিএসইসির ব্যাপার। তারপর সেই প্রতিনিধি দল বিএসইসির কমিশনের সঙ্গে মিটিং করে বন্ধের অনুরোধ জানায়। সেই মুহূর্তে বিএসইসির কমিশন আশ্বস্ত করলেও পরে জানায় এটা হাইকোর্টের ব্যাপার। পরে বিএসইসির চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করা হলেও কাজে আসেনি।
কারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত; তারপর তাদের হাতে থাকা আরএন স্পিনিংয়ের ৫.৫৯টি শেয়ারের পরিবর্তে নতুন করে ১টি শেয়ার যুক্ত হবে। যে বিনিয়োগকারীর ৩৪.৬০ টাকার শেয়ার কেনা, সেই শেয়ারের দাম এখন ১৮.৯০ টাকা।
Leave a Reply