আমাদের পুঁজিবাজার নিজস্ব প্রতিবেদক : কোভিড-১৯ মহামারির পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হতে শুরু করেছে নতুন আতঙ্ক এমপক্স ভাইরাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে এরই মধ্যে কয়েশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
তাই পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে এমপক্স ভাইরাসটি সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে রাখা জরুরি।
এমপক্স ভাইরাসটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স জানায়, জরুরি অবস্থা জারির অর্থ হলো নতুন এ রোগটি যেন মহামারি আকারে বিস্তার ঘটাতে না পারে, তার জন্য সম্মিলিতভাবে আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ায় বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া।
ডব্লিউএইচও বলছে, এমপক্সের সংক্রমণ রোধ করতে না পারলে এ রোগের মিউটেশন হতে থাকবে। আর তখনই রোগটি মারাত্মক আকার নেয়ার সুযোগ পাবে। তাই রোগটির সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সর্বসাধারণকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানিয়েছে। এমপক্স রোগটি আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল। ২০২২ সালে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। আফ্রিকায় প্রথম বানরের মধ্যে এ ভাইরাসটি শনাক্ত হলেও পরে তা মানুষের মধ্যে বিস্তার করতে শুরু করে। তাই প্রথমদিকে এ ভাইরাসের নাম মাঙ্কিপক্স রাখা হয়। কিন্তু প্রাণীর প্রতি বিদ্বেষমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এড়াতে এ ভাইরাসের নাম পরিবর্তন করে এমপক্স রাখা হয়। এমপক্সের লক্ষণ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বেশকিছু লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে শরীরে। এগুলো হলো-
১। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীর শরীরে জ্বর থাকবে।
২। মাথা ব্যথা অনুভব হবে। আফ্রিকা মহাদেশের বাইরে এ প্রথম সুইডেনে এমপক্স সংক্রামক রোগ শনাক্ত করা হয়েছে। ছবি: রয়টার্স ৩। পিঠ ও শরীর ব্যথা হবে।
৪। মাংসপেশীতে টান ও হাড়ে ব্যথা অনুভব হবে।
৫। শারীরিকভাবে রোগী দুর্বল অনুভব করবে।
৬। এমপক্সে আক্রান্ত রোগীর গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষণ হলো শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয়া। প্রথমে রোগীর মুখে ফুসকুড়ি দেখা দিলেও পরে তা হাত ও পায়ের তলায় এমন কি শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ফুসকুড়িতে কখনও কখনও চুলকানি, পুজ ও ক্ষত সৃষ্টি হতে দেখা যায়। এমপক্স ছড়ানোর প্রক্রিয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমপক্স ভাইরাসটি একই সঙ্গে সংক্রামক ও ছোঁয়াচে রোগ। ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে যেভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা হলো- ১। আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে কথা বলার সময় তার শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে।
২। আক্রান্ত রোগীর ত্বকের সংস্পর্শে। ৩। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা জিনিস ব্যবহার করলে।
৪। আক্রান্ত ব্যক্তির খাওয়া খাবার খেলে।
৫। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ালে। তাই এমপক্স ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করুন। যতটা সম্ভব ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
Leave a Reply