শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কর্মকর্তা ড. এম মাসরুর রিয়াজ। কিন্ত তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠায় বিএসইসি-তে তাঁর যোগদান আটকে গেছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ মাসরুর রিয়াজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপর নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। মাসরুর রিয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার বিষয়টি স্বীকার করেছেন অর্থ উপদেষ্টা।
ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের নির্দেশে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসাবে ড. মাসরুর রিয়াজের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তার (মাসরুর রিয়াজ) বিষয়ে কিছু প্রশ্ন আছে। সে বিষয়টি আমি দেখবো। দেখে দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবো।
এই বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, মাসরুর রিয়াজকে গতকাল (মঙ্গলবার) বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে আজ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মহোদয়ের দপ্তরের নির্দেশে ওয়েবসাইট থেকে সেই প্রজ্ঞাপনটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে ১০ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
পরবর্তীতে ১১ আগস্ট বিএসইসির কমিশনার মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরীকে নিয়ন্ত্রক সংস্থারটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গতকাল ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার ড. মাসরুর রিয়াজকে বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
Leave a Reply