নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত চার অটোমোবাইল কোম্পানি বিরুপ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর গাড়ী আমদানি ব্যয়বহুল করে তুলেছে।
অন্যদিকে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ডলারও পাচ্ছে না কোম্পানিগুলো। ফলে তাদের জন্য গাড়ীর ব্যবসা ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।
কোম্পানিগুলো হলো-আফতাব অটোমোবাইলস, ইফাদ অটোস, এটলাস বাংলাদেশ ও রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড।
কোম্পানিগুলোর সূত্রে জানা গেছে, ডলারের বিনিময় হার ক্রমাগত পতনের কারণে অদূর ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতির উন্নতি আশা করাও খুব কঠিন। কোম্পানিগুলো বলছে, মূল্যস্ফীতি জনগণের ক্রয়ক্ষমতাকে সংকুচিত করার কারণে চাহিদার তীব্র হ্রাসের কারণে গাড়ি প্রস্তুতকারকদের ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি খুব সহসা উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ বলে তারা মনে করছেন।
প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে কোম্পানি ৪টির পারফরমেন্স ২০২২-২৩ অর্থবছরে খুব একটা ভালো হয়নি। বিরুপ পরিস্থিতির কারণে কোম্পানিগুলোর ব্যবসায় পতন দেখা দেওয়ায় মুনাফা ও ডিভিডেন্ডেও পতন দেখা দিয়েছে।
আফতাব অটোমোবাইলস
৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য আফতাব অটোমোবাইলস এখনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। তবে সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে কোম্পানিটির মুনাফার ধারাবাহিকতা ভালো ছিল। কিন্তু চতুর্থ প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফায় ছন্দপতন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তারপরও কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড নিয়ে বিনিয়োগকারীরা আশাবাদী।
ইফাদ অটোস
৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ইফাদ অটোস ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছরও কোম্পানিটি ১০ শতাংশ দিয়েছিল। এরমধ্যে ছিল ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ বোনাস।
সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫৮ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১ টাকা ৫৬ পয়সা।
৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৩৭ টাকা ৯১ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ৩৯ টাকা ৩৮ পয়সা।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৯ নভেম্বর।
এটলাস বাংলাদেশ
৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য এটলাস বাংলাদেশ নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছরও কোম্পানিটি নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল।
সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৯৩ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ৪৭ পয়সা।
৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১১৬ টাকা। আগের বছর যা ছিল ১২৬ টাকা।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর।
রানার অটোমোবাইলস
৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য রানার অটোমোবাইলস নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৭ টাকা ৭৫ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা।
৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৬২ টাকা ৬২ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ৬৬ টাকা ৫০ পয়সা।
আগামী ২১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৯ নভেম্বর।
Leave a Reply