সূত্রমতে, ওয়ালটন হাই-টেক দেশীয় ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট কোম্পানি হলেও উদ্যোক্তা পরিচালকদেরই আরেক কোম্পানি ওয়ালটন প্লাজা দিয়ে বড় আয় আসে। এই নিয়ে আইপিওকালীন সময় বড় সমস্যা দেখা দেয়। কারণ দুটোই একই ম্যানেজমেন্টের কোম্পানি হওয়ায়, বিক্রি না করেও মুনাফা দেখানো সম্ভব।
আইপিওকালীন সময় অভিযোগ উঠেছিল, অনেক পণ্য ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজে রেখেই মেমো করে ওয়ালটন প্লাজার কাছে বিক্রি দেখানো হয়েছিল, যে কারণে কোম্পানিটির ওই সময় অস্বাভাবিক মুনাফা বেড়ে যায়।
আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওয়ালটন হাই-টেকের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ৬৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি বা আয় হয়েছে। এরমধ্যে ওয়ালটন প্লাজার কাছে পণ্য বিক্রি করে আয় হয়েছে ২ হাজার ১৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। যা মোট আয়ের ৩২.২৯%। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরে ছিল ২৭.৪২%।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ওয়ালটন হাই-টেকের জন্য অবকাঠামো বানানো হচ্ছে। এরইমধ্যে ১৪৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তারপরেও গত ৫ বছরেও অবকাঠামো নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়নি। যা অস্বাভাবিক।
এছাড়া কোম্পানিটিতে ২ বছরের বেশি সময়কালীন আগের ৫৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার কাঁচামাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। স্বাভাবিকভাবেই কাঁচামালের বয়স বেশি হয়ে গেলে, তা ব্যবহার অনুপোযোগি হয়ে পড়ে। ফলে কোম্পানির লোকসান হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩০ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৩ কোটি ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭৬০ টাকা বা ১.০১ শতাংশ।
কোম্পানিটির শেয়ার দীর্ঘদিন যাবত ফ্লোর প্রাইসে ১০৪৭ টাকা ৭০ পয়সায় অনড় অবস্থায় বন্দী রয়েছে।
Leave a Reply