পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভোররাতে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে।
পাশাপাশি তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে শীত জেঁকে বসতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১৭ তে বলা হয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আবহওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভোররাত থেকে সকালের মধ্যে নিলর ও মাসুলিপট্টমের কাছ দিয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এই সময় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply