আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ব্যবহারকারীদের টার্গেট করা থেকে রক্ষা করতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত তথ্যকে ব্যবহার করে কখনো কখনো নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির প্রোফাইলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে ভোট চাওয়াকে মাইক্রোটার্গেটিং বলা হয়। এটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর তথ্য খুব সূক্ষ্মভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়। এরপর এসব তথ্যের ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন তৈরি করে সেগুলোকে টার্গেট ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের সময় ২০১৬ সালে এমন প্রচারণা চালানো হয়েছিল। এটি করেছিল ব্রিটিশ রাজনৈতিক কনসালটেন্সি ফার্ম ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। পরে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে লাখ লাখ মানুষের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এমন কার্যক্রমের বিষয়ে আপত্তি করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
সোমবার (০৬ নভেম্বর) এভাবে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কাউন্সিল অব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। চুক্তির বিষয়ে বলা হয়, এ ধরনের বিজ্ঞাপনের জন্য শর্ত মানতে হবে। তবেই অনুমতি পাওয়া যাবে। এ সময় জোটের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যবিষয়ক নতুন একটি আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। সদ্য স্বাক্ষর হওয়া চুক্তির জন্য বিষয়টি আরও সহজ হয়ে গেছে। আইনে কোনো ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তার অনুমতি লাগবে। অনুমতি থাকলে তবেই এ তথ্য রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা যাবে।
ইইউ জানিয়েছে, যেসব তথ্য ব্যক্তির জাতিগত পরিচয়, রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং লিঙ্গভিত্তিক পরিচয় প্রকাশ করে তা সংগ্রহ করা যাবে না। এ সংক্রান্ত আইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে পাস হওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।
জার্মানির বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মার্টিন এমার বলেন, নতুন আইনের কারণে ব্যবহারকারীকে টার্গেট করা পুরোপুরি বন্ধ হবে এমনটা নয়। আইনটি লুকানো প্রভাব ঠেকানোর জন্য করা হচ্ছে।
Leave a Reply