আমাদের পুঁজিবাজার নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ১৩ দিনের জন্য মাঠে নেমেছেন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা।
ভোটের মাঠে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নামবেন আগামী ৩ জানুয়ারি। তাঁরাও মাঠে থাকবেন ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে থাকবেন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও আনসারের প্রায় সাড়ে সাত লাখ সদস্য। নির্বাচনের আগে, পরে ও ভোটের দিন নির্বাচন কমিশনের অধীনে দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরা।
একই সঙ্গে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাবেন। ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও খুলনার ৪৩টি উপকূলীয় ইউনিয়নে কোস্ট গার্ড ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, ‘নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্বাচন কমিশন যেভাবে ব্যবস্থা নেবে, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সেভাবেই কাজ করবে।’
সেই মোতাবেক রাজধানীসহ সারা দেশে ১ হাজার ১৫১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণত প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন সদস্য থাকেন। বিজিবির সদর দপ্তর গতকাল বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশের নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
র্যাব সূত্র বলেছে, নির্বাচনী সহিংসতা ঠেকাতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মাদারীপুর, যশোর, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন জেলায় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশের র্যাবের সদস্যরা আরও সতর্ক অবস্থায় থেকে গুরুত্বসহ কাজ করছেন।
Leave a Reply