| Company | Price | Change |
|---|
| Company | Price | Change |
|---|
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকাসহ দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পরপর কয়েক দফা মাঝারি ও মৃদু মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে কোন জেলাগুলো তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ—এ প্রশ্ন এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ভূপ্রাকৃতিক গঠন এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ভূমিকম্প ঝুঁকির দিক থেকে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বা ‘নিম্ন ঝুঁকিপ্রবণ’ হিসেবে বিবেচিত। এই অঞ্চলগুলো ভূমিকম্প মানচিত্রের জোন-৩-এর আওতাভুক্ত।
গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) নরসিংদী এলাকায় ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল শনাক্ত করা হয়েছে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ সক্রিয় ফল্ট লাইনের সম্ভাব্য উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের ভূমিকম্প প্লেট বাউন্ডারি ও ফল্ট লাইন বরাবর নতুন চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
দেশের ভূমিকম্প ঝুঁকি মূল্যায়নে আবহাওয়া অধিদফতর বাংলাদেশকে তিনটি জোনে ভাগ করেছে—জোন-১ (উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ), জোন-২ (মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ) এবং জোন-৩ (নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ)। এর মধ্যে জোন-৩ প্রধানত দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত।
সাম্প্রতিক গবেষণা, সিসমিক ডেটা এবং ভূগঠনিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা ও বরিশালসহ পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। এই অঞ্চলগুলো প্লেট বাউন্ডারি থেকে অনেক দূরে অবস্থান করায় বড় ধরনের ভূমিকম্পের সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ঝুঁকি কম হলেও সব অঞ্চলের বাসিন্দাদের ভূমিকম্প প্রতিরোধী নির্মাণকাঠামো এবং সচেতনতা বাড়াতে হবে, যাতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষতি কমানো যায়।
Leave a Reply