২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কৃত্রিমভাবে শেয়ার দর বাড়িয়ে প্রতারণা এবং বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ তুলেছিল যুক্তরাষ্ট্রের স্টক লেনদেন এবং গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। পরে তদন্তে নামে ভারতের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (এসইবিআই বা সেবি)। পরিপ্রেক্ষিতেই আদানির শেয়ারবাজার তালিকাভুক্ত ১০টি কোম্পানির মধ্যে সাতটির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশি জারি করেছে তারা।
ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, শেয়ারবাজারের নিয়ম না মানা এবং সম্পর্কিত পক্ষের (রিলেটেড পার্টি) সঙ্গে লেনদেন সংক্রান্ত বিধিভঙ্গের অভিযোগে কোম্পানিগুলোকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে
কর্তৃপক্ষকে তা জানিয়েছে তারা।
এই প্রেক্ষাপটে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। বিরোধী দলটির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক বিবৃতিতে বলেন, দীর্ঘদিন টালবাহানার পর এবং সুপ্রিম কোর্টের চাপে নোটিশ পাঠালো সেবি। তবে এবারও তা অস্বীকার করেছে আদানি গ্রুপ। তাদের দাবি, শোকজ নোটিশ কোনও অভিযোগ নিয়ে নয়। তাতে ভারতীয় শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিছু বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে।
সেবি নোটিশ পাঠানো কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আদানি এন্টারপ্রাইজেস, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি টোটাল গ্যাস লিমিটেড, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন, আদানি পাওয়ার, আদানি এনার্জি সলিউশনস এবং আদানি উইলমার।
সাত কোম্পানিই বলছে, আদানি গ্রুপের ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের হিসাব সংক্রান্ত নোটিশ পাঠিয়েছে সেবি। তাদের দাবি, কোনও আইনই ভঙ্গ করা হয়নি। তবে জয়রাম রমেশ মনে করিয়ে দেন, গৌতম আদানির ওই সব কোম্পানির একাধিক সন্দেহজনক লেনদেনের ব্যাপারে অডিটররা রিপোর্টে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন।
Leave a Reply