আরো ২৩টির কোম্পানির শেয়ারের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) তুলে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর ফলে বর্তমানে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকল।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ৩৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড বাদে অন্যান্য কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর দুই কার্যদিবসের মাথায় ওই ৩৫টির মধ্য থেকে ১২টি বাদে ২৩টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিলো কমিশন।
মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কমিশন আরো ২৩টি কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়েছে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া কোম্পানিগুলোতে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। আর ফ্লোর প্রাইসের আওতায় থাকা কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কমিশন আশা করছে, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার কারণে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বাজারে গতি ফিরে আসবে।
শেয়ারবাজারে লাগাতার পতন ঠেকাতে না পেরে গত চার বছরে কয়েক দফায় শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
বৈশ্বিক সংকটের কারণে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতন রোধে প্রথমবার ২০২০ সালের ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়, যা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয় ২০২১ সালের ১৭ জুলাই। এরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই দ্বিতীয় দফায় সব শেয়ারের দরে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে সংস্থাটি। পরবর্তীতে ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর ১৬৭ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, প্রতিদিন একটি-দুটি শেয়ার কেনাবেচার বিপরীতে ১ শতাংশ হারে দর কমতে থাকায় ২০২২ সালের ১ মার্চ তৃতীয় দফায় ফের ১৬৭ শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি।
ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার না করা কোম্পানিগুলো হলো— আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বিএটিবিসি, বেক্সিমকো, বিএসআরএম, গ্রামীণফোন, ইসলামী ব্যাংক, কেপিসিএল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, অরিয়ন ফার্মা, রেনাটা, রবি ও সাইনপুকুর সিরামিক।
Leave a Reply