ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। আজ শুক্রবার কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে গোপীবাগ এলাকায় রাত ৯টার দিকে ট্রেনটিতে আগুন লাগে।
বেনাপোল থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ঢাকায় আসছিল। ট্রেন থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে ট্রেনটির তিনটি বগি পুরোপুরি পুড়ে যায়। পরে একটি বগি থেকে মা ও শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আজকে ট্রেনে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ হাসিব (৩০) নামের একজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরের আট শতাংশ পুড়ে গেছে।
গোপীবাগের বাসিন্দা রাসেল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রেললাইনের কাছেই তাঁর বাসা। রাত ৯টার দিকে হঠাৎ মানুষ চিৎকার শুনে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে দেখেন, ট্রেনটিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। অনেকে তাড়াহুড়া করে ট্রেন থেকে নামছেন।
সৈয়দ ফায়েজ আহমেদ নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আগুন ট্রেনের কয়েকটি বগিতে ছড়িয়ে পড়েছিল। ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী যে যার মতো করে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
এর কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিসের এক বার্তায় বলা হয়, দুর্বৃত্তরা বেনাপোল এক্সপ্রেসের চারটি বগিতে আগুন দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ নিয়ে দেশে গত ২৮ অক্টোবরের পর ট্রেনে আগুনের ঘটনায় মোট আটজনের মৃত্যু হলো।
Leave a Reply