নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদায়ী সপ্তাহে (০৫-০৯ নভেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শীর্ষ লেনদেন তালিকায় ১০ কোম্পানির মধ্যে ছিল ফু-ওয়াং ফুডস, এমারেন্ড ওয়েল, দেশবন্ধু পলিমার, বীচ হ্যাচারি, ইউনিয়ন ইন্সুরেন্স, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স, খান ব্রাদার্স ও সমরিতা হাসপাতাল লিমিটেড।
শীর্ষ লেনদেনের তালিকায় থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে ৭ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও ৩ কোম্পানির কমেছে। ফলে শীর্ষ লেনদেনের ৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছেন। কোম্পানিগুলো হলো-ফু-ওয়াং ফুডস, এমারেন্ড ওয়েল ও ইউনিয়ন ইন্সুরেন্স লিমিটেড।
ফু-ওয়াং ফুডসের ২.৬৪ শতাংশ এবং ইউনিয়ন ইন্সুরেন্সের ২.৫৬ শতাংশ।
এমারেন্ড ওয়েল লিমিটেড
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর কমেছে এমারেন্ড ওয়েলের। সপ্তাহের ব্যবধানে এমারেন্ড ওয়েলের শেয়ারদর কমেছে ৫.০৩ শতাংশ। কোম্পানিটি সম্প্রতি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ২০১৫ সালের পর এবছরই সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এবছর কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড (৫ শতাংশ অন্তবর্তী ডিভিডেন্ড সহ) ঘোষণা করেছে।
এছাড়া, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটি রেকর্ড মুনাফা ঘোষণা করেছে। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২২ পয়সা।
এদিকে, ২০১৫ সালের পর কোম্পানিটির শেয়ার প্রথম বারের মতো মার্জিনে এসেছে। কোম্পানিটির শেয়ার এখন ২৩৫ টাকা পর্যন্ত মার্জিন পাবে। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ২১.১৭ পয়েন্টে।
ডিভিডেন্ড মালিকানা নির্ধারণের লক্ষে আগামী ২৭ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে। এরজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ নভেম্বর।
ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড
৩০ জুন, ২০২৩ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ০.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অন্তবর্তী ডিভিডেন্ড হিসাবে ঘোষণা করেছিল। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫৭ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিল শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ২৬ পয়সা। অর্থাৎ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির লোকসান অনেক কমে এসেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করেনি কোম্পানিটি।
ইউনিয়ন ইন্সুরেন্স লিমিটেড
চলতি অর্থবছরে তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৩ পয়সা। আগের বছর এই সময়ে যা ছিল ৮০ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৮৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা।
২০২২ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
Leave a Reply